চিরশ্রী দেবনাথ
কবিপত্নী শহরে স্মরণসভা, ব্যথাকাতরতা সেই স্মরণসভায় স্ত্রীদের যেতে নেই কেউ এসে বলবে কবি তার খুব কাছের ছিল,
কবিপত্নী শহরে স্মরণসভা, ব্যথাকাতরতা সেই স্মরণসভায় স্ত্রীদের যেতে নেই কেউ এসে বলবে কবি তার খুব কাছের ছিল,
দিদিমাকে তোমার সর্বহারা কাঁথায় রেখেছ হিরের মতো দুঃখী আমাকে বলেছ ব্যাঙের কথা বিধবার একটিই ধন, কুমীর থেকে ফের মানুষ না হতে পারা নদের চাঁদ
অবেলার ঘুম একটা ভারী ও শীতল কালো পর্দা নেমে আসে আমরা উঠে পড়ি সন্তর্পনে এ ওর মুখের দিকে চাই
একটি স্বতঃপ্রবৃত্ত খুন সেদিনটা উজ্জ্বল এখনো— অনায়াসে শরীরে গছিয়ে ওঠা আগাছা, কেটেকুটে সাফ।
কবির জন্যে এলিজি এক গাছের দেহ থেকে ছাল উঠে গেলে দেখি এক গভীর জলের শরীর শুনতে পাই
একমুঠো আলোর প্রতীক্ষা তোমায় যা কিছু সুখ আর যা কিছু অভিমান সব কুড়িয়ে এনে বসেছি নিশিমায়ার কাছে খুলে খুলে দেখি সেসব যেন এক একটি পান্ডুলিপি প্রতিটি লিপি যেন আমারই আয়না আদল
রাত্তির রাত। নিরবচ্ছিন্নতায় ভরে ওঠা রাত আজকের। দিন শেষ। ইশকুল শেষ। পড়া শেষ হয়েছে আজকের। যে পথে দাঁড়িয়েছিল সে, সে পথের ধুলো লেগে আছে পায়ের পাতায়। জানলায় আলো হ্যালোজেন। আবছায়া ছায়াদের ছায়ানুশীলন ভেসে আসে। টুকটুক লোক চলাচল। ঝুপঝুপ দোকানপাটির ঝাঁপ। ডুবডুব ডুপকি বেজে চলে।
সাক্ষ্যদান সেই অন্ধকার এখনো মনে পড়ে ঘুটঘুটে নীহারিকার বুকে নিটোল অক্ষরেখা— তখনও ফ্যাকাশে হয়নি আঁচল
রুদালি অরুন্ধতীনগরের একটি মেয়ে জুমের ঢেপার একজন, তুমুল স্রোতে মনুনদীর গর্ভ থেকে