প্রকাশিত হয়েছে ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “কলমে কারুকৃতি”-এর শারদীয়া সংখ্যা (১৪৩১)
‘কলমে কারুকৃতি’ পত্রিকার অর্থবহ সাহিত্যচর্চা। উৎসবের আলোর পাশে, আমরা অন্ধকারের কথা বলতে গিয়ে কেঁপে উঠব না, অকথিত উচ্চারণকে স্থান দিতে কুন্ঠিত বোধ করব না এটুকুই হোক আমাদের মন্ত্র। বাকিটুকু নির্ধারণ করবেন পাঠক। প্রণম্য পাঠকের কাছে এটুকুই বিনীত নিবেদন রইল।
ব্যক্তিগত পাঠের অভ্যাস ও আলোচনা প্রয়োজন। ঠিক এইরকম একটি ভাবনা নিয়েই প্রকাশিত হল ‘কলমে কারুকৃতি’-র বইসংখ্যা। প্রকাশ করবার সিদ্ধান্ত চটজলদি নেওয়া হলেও, কাজটি সম্পন্ন করা কঠিন ছিল। কারণ সেই একই। মানুষ বই পড়েন না। তবুও আশাবাদী পত্রিকা দায়িত্ব নিয়ে কিছু বইয়ের আলাপ ও আলোচনা প্রকাশ করল। বাকি দায়িত্ব পাঠকের।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ের এই উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র অন্যতম বারাে ভুইয়া বাকলার রাজা রাম চন্দ্র রায়ের কন্যা শােভা এবং তার পর্তুগিজ সেনাপতি জোসেফ,তাদের প্রেমের কাহিনী।
কারুকৃতি-র, প্রথম সংখ্যা আত্মপ্রকাশ করল যুদ্ধ নিয়ে। যদিও বর্তমানে যুদ্ধ কোনো বিশেষ জরুরী অবস্থা নয়, দৈনিক পরিস্থিতি, প্রতিদিনের পাপক্ষয়। খুব স্থূল অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে সামাজিক বিবর্তন ঘটছে। সময়ের সারণিতে এক কালান্ধকার সমীক্ষা বদলে দিচ্ছে আগামী প্রজন্মের বীক্ষণ। সামাজিক উত্তরণ আর অবতরণের এই কালনির্ণয় সাহিত্যরীতির উপরেও সম্যক প্রভাব ফেলবে এ আর কি এমন আশ্চর্য কথা!
বেদের সমস্ত খন্ডগুলির বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সামনে এলে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঋকবেদের আলোচনা করার সুবিধা হবে, এবং তার সাথে বাংলা সাহিত্যের একটি বিশাল দিক উন্মোচিত হবে। এই সব কথা মাথায় রেখে আমি একজন শ্রদ্ধাবান বেদ পাঠক হিসেবেই এই বইটি লিখেছি। আমার আলোচনায় কিছু অসংগতি ও ত্রুটি থেকে যেতেই পারে, তার জন্য সহৃদয় পাঠক আমাকে ক্ষমা করবেন, সেই আশা রাখি।
নিছক কাহিনি নয়, গল্পের প্রেক্ষিতে উঠে এসেছে এক উত্তাল কালখন্ড, ধর্মীয় সীমানার বাধ্যবাধকতা। মাধুর্যের নকশী কাঁথার ইঙ্গিত রয়েছে সাধনা ও সাধকের সুরমুগ্ধতায়। মসৃণ ও ঝরঝরে বাক্যরীতিতে লেখা উপন্যাসটি পাঠকপ্রিয় হবে বলেই মনে হয়।
একটি প্রেমকাহিনি, সহজ স্বাভাবিক ছন্দে যা শাশ্বত হয়ে উঠেছে গল্পের প্রবাহে।
চেতন মন যা ছুঁয়ে নিতে পারলেও বুঝে নিতে পারে না, সে সাবলীল বিচরণ করে অবচেতনে।
'শূন্য থেকে ক্রমশ'- এই গ্রন্থের কবিতাগুলি মূলত ভাববাদী ধারণার উপর নির্মিত কল্পচিত্র।