সম্পাদকীয়
গত কয়েক বছরে কত শিল্পীকেই না হারালো বাংলা ভাষা। কতবার অনুতাপ করেছি আমরা। কতবার বিস্ময়ে হতচকিত হয়েছি। স্তব্ধ হয়েছি অবাধ স্মৃতিগুলির সৌধ হয়ে ওঠায়।
"পাথরের ফুল" ---ধ্রুপদি অথচ স্বতন্ত্র এক নির্মাণ একটা এলিজি বা শোক-গাথা বা শোক-কবিতা কেন লেখা হয়? অবদমিত শোকের ক্যাথারসিস? শিল্পশীলিত পথে অবরুদ্ধ বিষাদের শান্তায়ন? মৃত্যুর অনিবার্যতাকে মেনে নিয়ে এবং দুঃখবোধের সংপৃক্তিকে স্পর্শ করে অবশেষে প্রাণের উজ্জীবন? নাকি ব্যক্তিগত শোককে আশ্রয় করে বৃহত্তর এক সর্বজনীন দুঃখের আবহকে ছুঁতে চাওয়ার চেষ্টা করা? হয়তো এককথায় উত্তর হওয়া উচিত এলিজির উদ্দিষ্ট একসাথে সবগুলোই।
এলিজি এত অহমিকা এত আয়োজন হাহা চিৎকারে ওই ওরা যায় মিছিল তো নয় সারি সারি মাথা ক্ষমতার পায়ে সব অবনত
শঙ্খ ঘোষ : শ্রদ্ধাভাজনেষু কে শেখাবে এরপর প্রান্তরে দুলে ওঠা শষ্যের ভাষা কে দেখাবে অন্ধকারের বুকে
সে এখন মৃত্যু নিয়ে নিরাপদ, নিশ্চিন্ত ছবিটা পাঠিয়েছিল সে অ্যালবাম থেকে ছিঁড়ে— চারদিকে তখন বরফের আস্তরণ, কথাগুলি ঢাকা পড়ে যায় অসঙ্গতির মোহে। ফাঁক ফোকর থেকে আমরা তখন দুরাশা কুড়িয়ে বেড়াই। কেঁপেছিল কি হাত তার
ধূপের দীর্ঘশ্বাস প'ড়ে আছে অক্ষর, তুমি নেই! শব্দ খোঁজে তোমাকে সারাদিন কেঁদে যাচ্ছে, শ্রাবণ মেঘ
এলিজি শুধু দূর ভাবি, কতদূর? কতদূর গেলে তবে লেভেল ক্রসিঙে থামা দুরন্ত রাত কোন সিগন্যালে থেমে গেছ, বাইরে জোনাকি রাত
কবিপত্নী শহরে স্মরণসভা, ব্যথাকাতরতা সেই স্মরণসভায় স্ত্রীদের যেতে নেই কেউ এসে বলবে কবি তার খুব কাছের ছিল,
দিদিমাকে তোমার সর্বহারা কাঁথায় রেখেছ হিরের মতো দুঃখী আমাকে বলেছ ব্যাঙের কথা বিধবার একটিই ধন, কুমীর থেকে ফের মানুষ না হতে পারা নদের চাঁদ
অবেলার ঘুম একটা ভারী ও শীতল কালো পর্দা নেমে আসে আমরা উঠে পড়ি সন্তর্পনে এ ওর মুখের দিকে চাই