রবীন বসু
অগ্নিস্নান [কবি শঙ্খ ঘোষ স্মরণে) একটু স্তব্ধ হও, শব্দহীন বসো একপাশে এখানে কবি শুয়ে আছেন, এখানে দাঁড়ের শব্দ এখন ছলাৎহীন এখানে মগ্ন অক্ষর পাঁজরে লেগে আছে
বোধের জন্য শোকস্তব ও ধরে ফেলেছিল আমার বোধ নেই, অথচ আমি দরজার পর্দা ধরে দাঁড়ানো বাচ্চাটার গা থেকে বেরিয়ে আসা
স্টেথোস্কোপ সে বিরাট অশ্বত্থ এক— আমরা আশ্রয় নিতাম ক্লান্তির শেষে৷ সে এক বৃহত্তর ফুসফুস
বিলাপ মৃত্যু এসে হাঁটু মুড়ে বসে আছে বুকের ওপর মর! মর! মর! তুমি তাকে প্রাণপণে সরাচ্ছ দুর্বল হাতে ঠেলে কেঁপে উঠছে হৃদয়ের মাঠঘাট অরণ্য ব্যথা চরাচর
এলিজি বাবা পাতার ফাঁকে ফাঁকে রৌদ্র যেমন খেলা করে মাটিতে এই আলো এই নেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে তুমি ঘুরে ফেরো
আত্মহনন আমার আত্মহনন বহমান, আহ্নিক গতি ছুঁয়ে এই চরাচরে। হরিধ্বনি দিতে দিতে, এ বাউলমন— দোতারা ওড়ায় শূন্যে, যেন ছড়ায় বিষণ্ণ খই শেষ যাত্রায়।
বেমানান কার্তুজ জানতে তুমি? মুমূর্ষুর গোঙানি বনাম অন্ধকারের নৈ:শব্দ্যের খেলা চলে সারারাত!