ঈশিতা পাল
একটি স্বতঃপ্রবৃত্ত খুন সেদিনটা উজ্জ্বল এখনো— অনায়াসে শরীরে গছিয়ে ওঠা আগাছা, কেটেকুটে সাফ।
কবির জন্যে এলিজি এক গাছের দেহ থেকে ছাল উঠে গেলে দেখি এক গভীর জলের শরীর শুনতে পাই
একমুঠো আলোর প্রতীক্ষা তোমায় যা কিছু সুখ আর যা কিছু অভিমান সব কুড়িয়ে এনে বসেছি নিশিমায়ার কাছে খুলে খুলে দেখি সেসব যেন এক একটি পান্ডুলিপি প্রতিটি লিপি যেন আমারই আয়না আদল
রাত্তির রাত। নিরবচ্ছিন্নতায় ভরে ওঠা রাত আজকের। দিন শেষ। ইশকুল শেষ। পড়া শেষ হয়েছে আজকের। যে পথে দাঁড়িয়েছিল সে, সে পথের ধুলো লেগে আছে পায়ের পাতায়। জানলায় আলো হ্যালোজেন। আবছায়া ছায়াদের ছায়ানুশীলন ভেসে আসে। টুকটুক লোক চলাচল। ঝুপঝুপ দোকানপাটির ঝাঁপ। ডুবডুব ডুপকি বেজে চলে।
সাক্ষ্যদান সেই অন্ধকার এখনো মনে পড়ে ঘুটঘুটে নীহারিকার বুকে নিটোল অক্ষরেখা— তখনও ফ্যাকাশে হয়নি আঁচল
রুদালি অরুন্ধতীনগরের একটি মেয়ে জুমের ঢেপার একজন, তুমুল স্রোতে মনুনদীর গর্ভ থেকে
সন্দীপ দত্ত প্রবাদ যখন চিতায় ওঠে মানুষ এইভাবেই কাঁদে... শব্দনাভি পোড়ে না তার হাত ছাড়িয়ে অগ্নিশিখার অমরত্বের চৈতি হাওয়ায়
কুয়াশা ভেঙে তোমায় আমায় মিলে হয়তো বা হেঁটে যাবো একদিন কার্তিকের কুয়াশা ভরা নীলে।
পদ্মপাতার জল চুপটি করে বসে থাকি অথবা কখনো হাঁটি আর কুড়োতে থাকি টুকরো ইতিহাসের পাতা। সমুদ্রের ছোবলে চাঁদকে ভাঙতে দেখলে ছবিটাকে কুড়িয়ে রাখি যেমন কুড়িয়ে রাখি ফেনা থেকে বেড়িয়ে আসা ছোট ছোট কাঁকড়া।