সুব্রত ভৌমিক

দেখেছে, মানুষ তাকে তিনবারে চেনে। প্রথমবার খুব পাত্তা দেয়। দ্বিতীয়বারে চটে। তৃতীয়বারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তো এইরকমই একটা সাক্ষাতে লোকটা এবার পাল্টা যুক্তি দেখান, 'বৃষ্টি তাতে কী। তোমার তো ছাতা আছে। তুমি তো আর ভিজবে না, তোমার রিকশা ভিজবে।‘ সশব্দ উত্তর এল, 'না না, ও বিষ্টি-ফিষ্টি হলিই দশ টাকা বেশি লাগবে।'

0 Comments

সৌমী আচার্য্য

আমি রোজ আসমানে চায়া থাকি, রফিকুলের বা'জান। দেহি খোদাতালার রহমত কোন পথে আসে? আমাগো বাড়ির চাইরপাশে শুধু ছ্যামা ঘোরে। আইচ্ছা রফিকুলের বা'জান, এই যে আমার বুকির মইধ্যে চিনচিনায় ওঠে, ক্যান কোও দেহি? রাইতের বেলা কারা যেন চাঁদের মতো আঁচল ছড়ায় উঠানময়, ডাকতারে কইসে খোদার রহমত নাবলি আমার সব কষ্ট দূর হইবো। ওষুধের খরচা কার থিকা নাও? ও রফিকুলের বাজান ছ্যামড়াডা কাছে আসে না ক্যা? ওরে মানুষ কইরো। শুকনা হাওয়া যখন চড়বড় করি মাটি ফাটাবো হেয় যেন ছ্যামা দেয়।

0 Comments

সম্পাদকীয়

গত কয়েক বছরে কত শিল্পীকেই না হারালো বাংলা ভাষা। কতবার অনুতাপ করেছি আমরা। কতবার বিস্ময়ে হতচকিত হয়েছি। স্তব্ধ হয়েছি অবাধ স্মৃতিগুলির সৌধ হয়ে ওঠায়।

0 Comments

পল্লব গঙ্গোপাধ্যায় 

"পাথরের ফুল" ---ধ্রুপদি অথচ স্বতন্ত্র এক নির্মাণ  একটা এলিজি  বা শোক-গাথা বা শোক-কবিতা কেন লেখা হয়? অবদমিত শোকের ক্যাথারসিস? শিল্পশীলিত পথে অবরুদ্ধ বিষাদের শান্তায়ন? মৃত্যুর অনিবার্যতাকে মেনে নিয়ে এবং দুঃখবোধের সংপৃক্তিকে স্পর্শ করে অবশেষে প্রাণের উজ্জীবন? নাকি ব্যক্তিগত শোককে আশ্রয় করে বৃহত্তর  এক সর্বজনীন দুঃখের  আবহকে ছুঁতে চাওয়ার চেষ্টা করা? হয়তো এককথায় উত্তর হওয়া উচিত এলিজির উদ্দিষ্ট একসাথে সবগুলোই।

0 Comments

অবন্তিকা পাল

এলিজি   এত অহমিকা এত আয়োজন হাহা চিৎকারে ওই ওরা যায় মিছিল তো নয় সারি সারি মাথা ক্ষমতার পায়ে সব অবনত

0 Comments

অমিত চক্রবর্তী

সে এখন মৃত্যু নিয়ে নিরাপদ, নিশ্চিন্ত   ছবিটা পাঠিয়েছিল সে অ্যালবাম থেকে ছিঁড়ে— চারদিকে তখন বরফের আস্তরণ, কথাগুলি ঢাকা পড়ে যায় অসঙ্গতির মোহে। ফাঁক ফোকর থেকে আমরা তখন দুরাশা কুড়িয়ে বেড়াই। কেঁপেছিল কি হাত তার

0 Comments