হেমন্ত দাস

জানো "ম" ! আমি জানি এই চিঠি পৌঁছাবেনা কোনদিন তোমার কাছে , ঠিকানাটাই ভুল ছিল আমাদের । ভাবাবেগগুলো কলসির ভেতর পুরে যদি অস্থি বিসর্জনের মতো ভাসিয়ে দেওয়া যেত ! তাহলে হাত পা ছুঁড়ে আর চেঁচামেচি করতো না । আমার একলা মনের ভাবাবেগ , বাজপড়া বাবলা গাছে বাঁদুরের মতো ঝুলে থাকবে আজীবন ।

0 Comments

শরণ্যা মুখোপাধ্যায়

আচ্ছা, আমার কি আপনাকে অমুকবাবু বলা উচিত ছিল? কিন্তু সে যে আমি বলতে পারিনি শুরুতেই। সামাজিক হিসেবগুলো আজও বুঝে উঠতে পারিনি, জানেন তো আপনি।

0 Comments

মানসী মন্ডল

আজ এই শেষ শ্রাবণে আমার শহরে আর তোর গ্রামে আকাশ ঘিরে মেঘ করে এসেছে।অনেক অনেক দিন পর সুদূর  বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপের জন্য সবার হাপিত্যেশ অপেক্ষা ছিল। ঠিক সময়ে ঠিক বৃষ্টির অভাবে কত জমি আবাদ হল না।অবশেষে অসময়ে বৃষ্টি এল। কালো মেঘ উড়ে যাচ্ছে আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

0 Comments

মোনালিসা চন্দ্র 

কে জানত বল, চিঠি লেখা কাজটা এত তাড়াতাড়ি এমন ‘রেট্রো থিং’ হয়ে যাবে? জগতে ‘মোবাইল’ নামের এক কেজো বস্তুর উদয় হবে আর সে এসেই চিঠি লেখার পাটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ লেবেল সেঁটে বাজে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেবে একথা কি আমরা দুঃস্বপ্নেও ভেবেছিলাম?

0 Comments

সৌমী আচার্য

তোমাদের অতি সাধারণ কাঁকনের থেকে আর কোনো ভয় তোমাদের রইল না এই খবরটুকু পৌঁছে দেওয়া ভীষণ জরুরি মনে হয়েছিল একসময়। তারপর সময়ের প্লাবন ভাসিয়ে নিল উথালপাতাল কথার ফুলঝুড়ি, চোখ ছলছল, লেবুগন্ধের দুপুর, সিট্রানিনের মাদকতায় উপুরঝুপুর বৃষ্টি সব সব।

0 Comments

দীপ শেখর চক্রবর্তী

একুশ দিন আগে কলোনির মোড়ে দেখলাম তোমাকে। ডাকিনি। একুশ দিন আগে মানে তেইশে জুলাই। সেদিন আমার বয়স ছিল একত্রিশ বছর তিন মাস আট দিন। এখন তিন মাস ঊনত্রিশ দিন। মনে পড়ে, সতেরো বছর বয়সে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। ভালোবাসতে বাসতে আরও তিনটি বছর। এক আশ্চর্য বালক ছিলে বটে।

0 Comments

গৌতম ঘোষ দস্তিদার

আজ তোমার জন্মদিন । পঁচাত্তর বছর আগের এমনই এক মাঝরাতে হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে পাড়াপড়শি সবার ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো । সূর্যকে আড়াল কোরে তুমি এলে যেন । সবাই নাকি সেদিন ভেবেছিলো – নোতুন কোনো তারকা বুঝি আলো নিয়ে এলো এক পশলা । সে কি সাংঘাতিক একটা উদ্দীপনার উদয় হোলো আকস্মিক । পূর্বপুরুষের কাছে কতো বারবার শুনেছি সে কাহিনী !

1 Comment

পিয়াংকী

প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছ, ওজনও তো দেখছি বেড়েছে বেশ। তোমার  একান্ত  নির্বাক ভরণপোষণ নিয়ে দীর্ঘ হয়েছি দুই বিনুনির সেই আমিও। মিহি যাতায়াত আর  মিইয়ে যাওয়া প্রাচীন শব্দের  ভেতর আজও  অসংখ্য ফাঁকফোকর। সেখানে লুকিয়ে আছে বিগত জন্ম আর যাবতীয় ঋণমুকুব দস্তাবেজ।

0 Comments

 শুভনীতা দে

মন, কেমন আছিস তুই, জানতে চাইব না। মূলত তিনটে বাহানায়। এক, তুই যাই বলিস ভাল কিংবা মন্দ, তার সত্যতা তলিয়ে দেখার সাহস আর আমার নেই। শুনেছি তুই এখন যা মুখে আসে তাই বানিয়ে বলতে শিখেছিস।

0 Comments

 অভিষেক দত্ত

স্তা,          অনেকদিন পর লিখছি তোমায়।কেমন আছো? জানো আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখভার।তোমার মতোই অভিমানী দেখছি আজ সে।নিরীহ একখানি রোদ্দুর আমাদের ঝুল বারান্দায় ছুটোছুটি করতে করতে হটাৎই মিলিয়ে গেল।

0 Comments