মুখবন্ধ
তোমার কবর থেকে অবশেষ তুলে তাকে দাফন করব নতুন করে। আমার প্রেম সবুজ ফুলকপি কাটবে ধারালো ছুরিতে। শরীর থেকে উড়ে যাওয়া পাখিরা বাষ্প আর বুদবুদের আকাশ চেনাবে তোমাকে। সবাক যৌনতা দেখাবে সেই অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, যেখানে বন্ধ হয়েছিল অ্যালার্মঘড়ি।
তোমার কবর থেকে অবশেষ তুলে তাকে দাফন করব নতুন করে। আমার প্রেম সবুজ ফুলকপি কাটবে ধারালো ছুরিতে। শরীর থেকে উড়ে যাওয়া পাখিরা বাষ্প আর বুদবুদের আকাশ চেনাবে তোমাকে। সবাক যৌনতা দেখাবে সেই অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, যেখানে বন্ধ হয়েছিল অ্যালার্মঘড়ি।
নারীকে চিনেছ যোনি আর জরায়ুতে… জরায়ু থেকে জারিত গোলাপ দেখনি তুমি? দেখনি উর্বর জমিতে নন্দন কানন? চেননি নারীকে, সযত্নে রাখে যে ভ্রূণ জঠরে?
আসন্ন সন্ধ্যার ব্যস্ততা থামিয়ে দেয় রেড সিগন্যাল এই রেড শব্দটার ইজ্জত বেরহেমি অথবা সবক শেখাতে সংস্কৃতি সচেতন একটা শহর
সম্পূর্ণ মূল প্রবাদটি হল এমন… “স্বামী সে যদিও হয় নেশাড়ু বা খুনে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে” রমণী শব্দটির উৎপত্তি “রমণ” থেকে, যার অর্থ সম্ভোগ, আমোদ-প্রমোদ, রতিক্রিয়া। অর্থাৎ রমণী শব্দটার মানে দাঁড়ায়, রমণ করার বস্তু। প্রাচীনকালে নারীদের প্রতি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি এমনটাই ছিল। যদিও এখন তা আর নয় এখন রমণী কেবলি স্ত্রী লিঙ্গকে নির্দেশ করে।
হামেশাই পালক ঝরে তার গা থেকে, রমণীয় প্রাসাদটি জুয়ার মহল্লায় ভিজে কাদা বুকের ডিঙিকথা শুকনো পাতার তৈরি ভাসানের নৌকো ঘোষনা করে বিসর্জনরেখা
আলো আসে, আলো যায় এক একটি অন্ধকার শুধু থেকে যায় হৃদয়ে প্রেমের বালাপোষ জড়িয়ে। ২৩টা বছর! ভাবলে আজও অবাক লাগে! সত্যিই তেইশটা বছর কাটিয়ে ফেললাম সিঙ্গল মাদার' হিসেবে। একক মা' কিন্তু কেন এই একক যাত্রা? আসুন, একটু ফিরে যাওয়া যাক ফ্ল্যাশব্যাকে|
স্ত্রী এই শব্দটির দিকে তাকালে কখনও কি প্রেমের আবির রং দেখেছেন? অথবা বন্ধুত্বের সোনালী রোদ্দুর। 'স্ত্রী কি প্রেমিকা?' —উঁহু', স্ত্রী বন্ধু? 'নৈব নৈব চ'
গৃহকর্মে নিপুণ নারীর শ্রম কোনোকালে স্বীকৃত হয়েছে? নারী মন? সে তো নাকি ঈশ্বরও বোঝেননি। স্ত্রী হল সেই ব্যক্তি যে ছায়া মায়া দেবে, আশ্রয় দেবে, সোহাগ করবে। তার ছায়ার কথা কে ভাববে? তার পিপাসা, কান্না, ছুটি… নেই নেই।
“স্ত্রী” শব্দটি ভাবলেই একটি আয়না ভেসে ওঠে। আয়নার মধ্যে পথ। সেই পথের মধ্যে কত যুগ, কত কাল।কত ইতিহাস। আর কত গাথা। হেঁটে চলেছেন কত নারী। কত তার আঙ্গিক। পথের মধ্যে আকাশ। নক্ষত্রমণ্ডলী। সপ্তর্ষিমণ্ডল ।
নারী শব্দটি নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে বসিনি কখনো। যেমন পুরুষ শব্দটিও ভাবায়নি বিশেষ। সব সময় মনে হয়েছে শব্দগুলো আইডেন্টিকাল। এই শব্দগুলোর বদলে অন্য অর্থপূর্ণ যে কোন শব্দই প্রযোজ্য হতে পারতো। যেমন second gender শব্দেও আপত্তি আছে আমার।