সৌরভ সাহার কবিতা
আত্মহনন আমার আত্মহনন বহমান, আহ্নিক গতি ছুঁয়ে এই চরাচরে। হরিধ্বনি দিতে দিতে, এ বাউলমন— দোতারা ওড়ায় শূন্যে, যেন ছড়ায় বিষণ্ণ খই শেষ যাত্রায়। গেল’ রাতে জোৎস্নার সিঁড়ি বেয়ে এসেছিল এক রূপকথা, গভীর সে জীয়ন সুখের আশ্বাস— পিলসুজের আলোয় সোনা-রূপোর মায়াকাঠির ছোঁয়ায়। ভোরের লেবুরঙা আকাশ হারায় সব রঙ, বন্দি-নিয়তি যখন বিকোয় পাশার ছকে। বাজী থাকে— আত্মার মৃত্যু সমন। বাঁচি ঘাতক সময়ের পায়ে ভিক্ষায় নিরাশায়। দিনমান নির্বিচার। বয়ে আনে নিঃস্ব আত্মার শব সুনিপুণ। খসে যায় মন-কুসুম। পড়ে থাকে আবর্জনায়— ছেলেবেলার “কথামালা”। শত-কুচি। ডুবে যাই গড্ডালিকায়। শুধু টেঁকার তাগিদেই ছোটো হতে হতে, জন্মের কাছে নতজানু, আত্মহননের “সহজ পাঠ” হাতে— হরিধ্বনি দিতে দিতে ভেসে চলা এই গাঙে-র জোয়ার ভাঁটায়। আবার। আবার। আরো একদিন। ঘনঘোর জীবন-মরণ-খেলায়। |