সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

আমার আদরের প্রিয় মাঃ
 
কেমন আছো মা? আমরা ভালো আছি, আশা করি তুমি ও বাবা ভালো আছো। তোমাকে তাড়াতাড়ি পত্র দিই নি বলে হাজার বার ক্ষমা চাইছি।
 
জানো মা, এদেশে এসে অবধি অনেক কিছু শিখলাম, জানলাম।  এখানে শিক্ষা ও সভ্যতার মান খুবই উন্নত-এর ফলে এবং বহু প্রজন্মের শিক্ষার ফলে মানুষের জীবনে বিরাট একটা পরিবর্তন এসে যায়। যদিও জানি, মানুষ যতদিন বাঁচবে, ততদিন শিখবে। অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষা তো আর কিছু নেই পৃথিবীতে, তাই না মা?
তোমাকে লিখব লিখব করেও লিখে উঠতে পারছিলাম না, এখানে এসে বুঝলাম সত্যি আমি আজ বড় একা। আজ বিশেষ করে তোমার কথা মনে পড়ছে, কেন জানি না।  হয়ত এখানকার পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া আজ আমাকে তোমার ঠিক কোলের কাছে পৌঁছে দিল।  তাই আজ তোমাকে আমার এখানকার মানুষের কথা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে।  জানি না, আমিও হয়ত এদের-ই মত হয়ে যাব একদিন।
জীবনে আমাদের মুস্কিলটা কি বলো তো মা, আমরা পরিচালিত হই আমাদের বর্তমান দ্বারা, ভবিষ্যৎ -কে আমরা পিছনদিকে রাখি। বর্তমানে যে জিনিসে আমরা সামান্য আনন্দ পাই আমাদের টেনে নিয়ে যায় তার-ই অনুসরণে;  পরিণামে আমরা দেখতে পাই বর্তমানের খানিকটা তৃপ্তির মূল্যে লাভ করি ভবিষ্যতের বেদনার পাহাড়।
বেশ কয়েক দিন আগের কথা। ধরো, একেবারে প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা। 
নতুন এসেছি ডালাসে তখন। পড়াশুনার  আর এখানকার আদবকায়দা-র সাথে খাপ খাওয়াতেই সময় কেটে যাচ্ছিল হু হু করে। একটু হোমসিকও যেন হয়ে পড়েছিলাম, হবার-ই তো কথা, তোমাকে ছেড়ে তো কোনদিন কোথাও থাকি নি। একেবারে নতুন দেশে এসে একটু হাবুডুবু খাচ্ছিলাম বৈকি। প্র-থ-ম প্রথম আসলে বোধহয় সবারই এরকম হয়ে থাকে। সপ্তাহের সব দিনগুলো তো হৈ চৈ করে কেটে যায়, কিন্তু উইকেন্ডগুলো যেন কিছুতেই কাটতে চায় না। যেদিন ল্যাব থাকে সেদিনও যাইহোক করে কেটে যায়।
এমনি একদিন ডালাসের সুপারমার্কেটে দেখা ঊর্মিবোউদির সাথে। নতুন এসেছে জানা মাত্রই আমাকে ওনার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলেন।
সেদিন সন্ধ্য্যয় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে আমার আনন্দ আর ধরে না, কারণ আরো অ-নেক বাঙালি এসেছিলেন । খাবার সময় অবাক হয়ে দেখছি যে, মাছ- মাংস-নিরামিষ কত রকমের রান্না যে করেছিলেন বৌ্দি তার জবাব নেই। তাঁর তৈরি মিস্টি! আহা!-সত্যি বলছি মা, কলকাতার বড় বড় মিস্টির দোকানের কারিগরদের হার মানাবার মত।
সবাই মিলে খুব তৃপ্তি করে খেলাম। সরি মা- ঠিক সবাই মিলে না, কারণ, বাচ্চাদের দেখলাম ভাত খেতে দেওয়া হলনা। তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল পিৎজা।
জানতে চাইলাম যে “ওরা ভাত খাবে না?”
একে একে কয়েকজন বৌদির উত্তর শুনলামঃ
“ওরা ভাত খায় না।”
“ওরা ভাত খেতে চায় না।”
“কে বলো, রোজ বসে বসে ভাতের দলা গেলাবার জন্য সাধ্য সাধনা করবে? এ তো আর দেশ নয় যে, আর কোন কাজ নেই? ঝি চাকরেরা করে দেবে? তার চেয়ে এটাই সহজ, নিজেরা বসে বসে খেয়ে নেবে। ঝুট ঝামেলা করতে হয় না।”
কয়েকটি বাচ্চা দেখলাম ছুটে ছুটে মায়েদের কাছে আসতে চাইছে কিন্তু মায়েদের শাসনে বেচারীরা আবার কাঁচু মাচু মুখে মায়েদের রাখা আপস্টেয়ার্স-এ চিল্ড্রেন রুমে চলে যাচ্ছে।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম সেখানে উপস্থিত বড়রা নিজেদের মধ্যে বাংলা বললেও বাচ্চাদের সাথে অনেকেই সব সময় কথা বলছেন ইংরাজিতে। মনে হল, হয়ত মায়েরা নিজেদের ইংরাজি বলার ফ্লুয়েন্সি বাড়াবার তাগিদে ঘরে বাচ্চাদের সাথে রিহার্সাল দিচ্ছেন, কিংবা ভাত গেলাবার মত এটাও হয়ত শক্ত কাজ।
মনে মনে নিজের ছোটবেলাতে চলে গেছিলাম।  যেখানে মায়ের কোল ছিল সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। এখন মিস্টি “মা” ডাক হয়ে গেছে -‘মামি, মাম, মাম্মা, মম’! মায়ের সেই টিপ পরা শান্ত মূর্তি হয়ে গেছে জিন্স  -টপ পরা মূর্তি।  যেখানে যেমন সেখানে তেমন -ঠিক কথা। কিন্তু মা, আমরা একটু কষ্ট করে বাচ্চাদের সাথে বাংলা বলতে পারি, বা বাঙালিদের ডাকলে একটু সাধ করে শাড়ি আর কপালে টিপ দিতে পারি, তাই না মা। দেশে গেলে তো আমরা গাদা গাদা শাড়ি ভরে আনি স্যুটকেসে। এখনও তো আমরা ঢাকাই শাড়ির ফ্যান, কি বলো?
কার বাচ্চা কত বেশি ইংলিশিয়ানাকে রপ্ত করছে, সেটা নিয়ে গর্ব অনুভব করা এখনকার মাম-দের একটা হাইলি স্ট্যাটাস-এর মধ্যে  পড়ে।  সবে সবে দেশ থেকে এসেছি কাজেই এসব দেখে যেন একটু নিজেকে খাপছাড়া লাগছিল। অবশ্য ২০০৬ সালে দেশে গিয়ে দেখলাম সেখানেও মায়েরা আজকাল ইংরাজি বলছেন বাচ্ছাদের সাথে, কারণ, যুগ নাকি পাল্টেছে।
 
“যখন ইচ্ছে হবে চলে এসো নিমন্ত্রণের অপেক্ষা না করে। এই বিদেশে আমরাই হলাম নিজের লোক। শুধু আসবার আগে একটু ফোন করে দিও, কেমন।”
দাদা বৌদির কথাটাকে খুব আন্তরিক লাগল। কথাটাকে সযন্তে মনের কোটরে রেখে নিশ্চিন্ত মনে ডর্মে ফিরে এলাম মাঝরাতে। পুরো দু তিন সপ্তাহ কেটে গেল, এলো আবার নিরিবিলি শনিবার। বাইরে আকাশ বেশ থমথমে। আরো যেন মন খারাপের দিন। বন্ধু বান্ধব যে হয়নি তা নয়, তবে সবাই সেদিন কিছু না কিছু কাজে বেরিয়ে গেছে। সন্ধ্যেবেলায় একটু বাংলায় গল্প করার জন্য মনটা উশখুশ করতে লাগল। মনে পড়ল দাদা-বৌদির কথাটা, “ যখন ইচ্ছে চলে এসো… আমাদেরও ভাল লাগবে।”
অনভ্যাসের ফলে ফোন করে যাওয়ার কথাটা একেবারেই ভুলে গেছিলাম। সোজা গিয়ে হাজির হলাম তাঁদের বাড়িতে।
কলিং বেল টিপতেই দরজা খুলে দাঁড়াল এক শ্বেতাঙ্গিনী। একটু আশ্চর্য হলাম বৈকি কেননা, সেদিন তো বাঙালি ছাড়া আর কাউকে দেখি নি তাঁদের বাড়িতে। তার-ই দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে কান্না- ভেজা চোখে ঊর্মিবৌদির দুই বাচ্চা ছেলে মেয়ে। জানলাম, দাদা-বৌদি তাঁদের বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছেন এই টিনেজার বেবীসিটারের দায়িত্বে বাচ্চাদুটোকে রেখে। বাচ্চাদের চোখে তাই জল। ওদের সাথে আলাপও হয়নি তার ওপর দাদা-বৌদির অবর্তমানে তাঁদের বাড়িতে থাকা যুক্তিযুক্ত নয় ভেবেই সেদিন হতাশ হয়ে ফিরে এলাম আবার নিজের কোটরে।
 
দিন কেটে যাচ্ছে হু হু করে। নানা রকম কাজ আর পড়ার চাপে একেবারে ব্যতিব্যস্ত। এলো আবার মন খারাপের দিন শনিবারের সন্ধ্যা। একটুও পড়ায় মন নেই। মনে হল একটু গল্প করে অন্যমনস্ক হলে হয়ত আবার স্বাভাবিক হতে পারব।
আবার গিয়ে হাজির হলাম ঊর্মিবৌদিদের বাড়িতে। সেই দিনও দরজা খুলে দিল সেই শ্বেতাঙ্গিনী। পাশে দাঁড়িয়ে রইল সেই বাচ্চাদুটি… যাদের চোখে জলের বিন্দু তখনও টলমল করছে।
আজকে ওদেরই জিজ্ঞেস করলাম, “ বাবা-মা আছে?”
গোলাপের পাপড়ির মতন ঠোঁটদুটো কেঁপে উঠল-অভিমানে গলা যেন বুঁজে গেছে মনে হল।
সেই অবস্থাতেই বলল-“দে আর আউট।  উই ওয়ানটেড টু গো উইথ দেম-বাট দে ওন্ট।”
আবার-ও ফিরে এলাম এক রাশ হতাশা নিয়ে। খালি সেই কান্না-ভেজা চারটে চোখ আর অভিমানে ভরা কচিমুখ দুটো চোখের সামনে ভাসতে লাগল। বিশ্বাস করো মা! কি একটা হতাশা আপনা আপনি ঘিরে ধরল আমাকে। ঠিক করলাম, “নাঃ! আর যাব না ওনাদের বাড়ি।”
দিন থেকে মাস, মাস থেকে বছর ঘুরতে লাগল। কিন্তু মন বলে তো একটা জিনিস আছে, তা বুঝলাম যখন আবার গিয়ে হাজির হলাম ঊর্মিবৌদির বাড়ি। আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকাতে বুঝলাম এবার বাচ্চারা ধীরে ধীরে নিজেদের অ্যাডজাস্ট করে নিয়েছে। তাদের আগের মতন আর ফোলা ফোলা চোখ দেখতে পাওয়া গেল না।
আবার ঊর্মিবৌদির বাড়ি নিমন্ত্রণ পেলাম । এবার গিয়ে দেখলাম… কোন কচিকাঁচার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম ওরা আজ রাতে বন্ধুর বাড়িতে থাকতে গেছে। এই রকম নিমন্ত্রণ হলেই শোনা গেল বাচ্চারা বন্ধুর বাড়ি থাকতে গেছে। আমিও আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম এখানকার অভিবাসীদের জীবনযাত্রার সাথে। অহেতুক প্রশ্ন আর উঁকি মারে না। আমিও তো এখন সংসারী কাজেই সময়-এরও খুব টানাটানি।
আমি দেশে যাবার আগেই শুনে গেলাম যে, ঊর্মিবৌদির মেয়ে নাকি খুব ভাল রেজাল্ট করেছে এবং স্কলারশিপ পেয়ে MIT তে চান্স পেয়েছে। ছেলেও নাকি খুব ভাল রেজাল্ট করছে স্কুলে, সেও বের হবে পরের বছর। তাই মনে মনে ঠিক করলাম দেশ থেকে আসার সময় ওদের এমন ভাল গিফট কিনে আনব যে, ওরা আশ্চর্য হয়ে যাবে আর খুব খুশী হবে।
 
ফিরে তো এলাম দেশ থেকে- নিয়ে এলাম সাথে করে দুটো ইংলিশ “গীতাঞ্জলি” । তুমি তো জানো খুব সুন্দর ভাবে প্যাক করিয়ে এনেছিলাম দেশ থেকে। তাই, আসার পরের শনিবার আগে আগেই গিফট নিয়ে হাজির হলাম ওদের বাড়ি। দুই ভাই-বোনকে ডেকে উপহার দিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই গিফট র‍্যাপ খুলে ফেলল কিন্তু মনে হল যেন খুশী নয় ওরা। আমাকে জিজ্ঞেস করল, “ হু ইজ রাবিন্দনাদ?”
আমি তখনি আর সঠিক উত্তর খুঁজে পেলাম না, মা। মেয়ের এক বাঙালি বান্ধবী ওকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিল আমার সামনেই।
ঊর্মিবৌদি অনুযোগ করলেন যে, “জানো তো! ওরা কি সুন্দর বাংলা বলে আবার বাঙালি খাবারও খায়। আর… এরা দুই ভাইবোনে কিছুতেই বাংলা শিখল না? এত খারাপ লাগে কি বলব!”
এবার মৌ্মাছির চাকে ঢিল পড়ল। মেয়ের আঁতে ঘা লাগল।
ফেটে পড়ল রাগেঃ “মাম্মা, হাও ডু ইউ এক্সপেক্ট আস টু স্পীক বেঙ্গলী? হ্যাভ ইউ এভার স্পীক বেঙ্গলী উইথ আস? নেভার মাম, নেভার! ইউ হ্যাভ নেভার টট আস বেঙ্গলী ইদার।”
অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে সেই দাদা-বৌদির চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল। মুখে লাল আভা ফুটে উঠল। আমার মনে হল এই “গীতাজ্ঞলী” না দিয়ে অন্য কিছু দিলে হয়ত ভাল করতাম। এত ঝামেলার মধ্যে আর পড়তে হতনা, ওনাদের।
নিজের ভুলের মাশুল দিতে দিতে বাড়ি ফিরে এলাম। আর আমার বাংলা প্রেমকে ধিক্কার দিলাম মনে মনে। মা আমি বদলাতে পারলাম না নিজেকে এখনও।  তোমার কথা বার বার মনে পড়ে, “বাংলা তোর মাতৃ্ভাষা, মাতৃভাষাকে ভোলা মানে নিজের মা-কে ভুলে যাওয়া। কাজেই বাংলার ঐতিহ্য-কে ভুলে যাস না কখন-ও। না মা, ভুলি নি, একটুও ভুলিনি, ভুলতে পারব না মনে হয় জ্ঞানত।”
আমি আর তোমার জামাই প্রত্যুষ নতুন বাড়ি কিনব। তাই, একটু পরামর্শের জন্য আবার একদিন তাঁদের বাড়ি গেলাম। গিয়ে দেখলাম ঊর্মিবৌদির মা এসেছেন দেশ থেকে। আলাপ হল ওনার সাথে।
নানারকম কথাবার্তা হচ্ছে আমাদের মধ্যে।
হঠাৎ মেয়ে এসে বললঃ “ মাম্মা, জাস্ট নাও ইভেট কল্ড মি টু স্পেন্ড দ্য নাইট উইথ হার। আই এ্যাম গোইং টু হার হাউস রাইট নাও।”
-বাবা-মা একসাথে আপত্তি জানালেন।
স্বাভাবিকভাবে মেয়ের প্রশ্নঃ “হোয়াই নট? ইউ হ্যাড লেট মি গো টু স্লিপ-ওভারস বিফোর, বাট হোয়াই আরন্ট ইউ লেটিং মি গো নাও? প্লিস এক্সপ্লেন! আই এ্যাম লিসনিং।”
কথা বাড়তে লাগল ভাবলাম কী করে উঠে পড়ি। আমরা দুজনেই খুব অপ্রস্তুতে পড়ে গেলাম।
বাবা-মায়ের প্রতিবাদের উ-ত্ত-রে মেয়ে বলতে লাগলঃ –
-হোয়াট এ্যাবাউট! হোয়েন উই ওয়ের কিডস, এ্যন্ড, ইউ বোথ লেফট আস উইথ বেবীসিটার? ইউ নেভার ওরিড এ্যাবাউট সেফটি দেন।
– হোয়াট এ্যাবাউট! হোয়েন ইউ সেন্ট আস টু ফ্রেন্ডস হাউসেস টু স্পেন্ড দ্য নাইট? ইউ ওয়ের নট ওরিড দেন ইদার। আই হ্যাড নেভার সিন… এনি ডিফারেন্স বিটুইন ইউ এ্যন্ড ইভেট’স অর লোরা’স অর এনিবডিস’ পেরেন্টস, হোয়াই আর ইউ চেঞ্জিং নাও?”
দাদা-বৌদি কি অপমান বোধ করছিলেন না নিজেরা নিজেদের ধিক্কার দিচ্ছিলেন – মুখ দেখে বোঝা গেল না, মা।
ওখানেই বসেছিলেন বাচ্ছাদের দিদিমা, উনি এবার চুপ করে থাকতে না পেরে নিজের মেয়েকে বল্লেন, “গোরা কেটে আগায় জল ঢাললে কি আর গাছ বাঁচানো যায়রে? মানুষ অভ্যাসের দাস, যে নিয়মে শুরু থেকে অভ্যাস করাবে, সেই নিয়মেই তারা চলবে। অকারণে কিছুই ঘটেনা সংসারে।”
দাদা-বৌদির মুখের দিকে চেয়ে উঠে পড়লাম, -“পরে আসব”, বলে বেরিয়ে এলাম আমরা সেখান থেকে। ফাঁকা আকাশের নীচে গাড়ির মধ্যে শুধু আমরা যেন দুটো নির্বাক পুতুল।
 
আজ এইটুকুই থাক, মা। চিঠি বিরক্তিকর হয়ে উঠছে…অতএব থামছি। …আসলে নিছক আলসেমি।    ভালো থেকো তুমি ও বাবা। গুড নাইট।
 
তোমাদের স্নেহের,
দেবমিতা
 

Leave a Reply