সম্পাদকীয়
গত কয়েক বছরে কত শিল্পীকেই না হারালো বাংলা ভাষা। কতবার অনুতাপ করেছি আমরা। কতবার বিস্ময়ে হতচকিত হয়েছি। স্তব্ধ হয়েছি অবাধ স্মৃতিগুলির সৌধ হয়ে ওঠায়। ব্যক্তিগত পাতায় প্রকাশ করেছি সেই শোকের অভিঘাত। শোক প্রকাশের মুখাপেক্ষী নয়, শোকের নিজস্ব ভাষা আছে। পৃথিবী থেকে একে একে যা কিছু খসে যায়, তাদের অভাব নিজস্ব শোকের পরিধি তৈরি করে। একটি পাতা কোথাও কীভাবে খসে পড়ল ঘাসের জীবনে তাঁর জন্যেও প্রকৃতি হয়ত কোথাও একটি শব্দে প্রকাশ করে যায় তাঁর শোকের বার্তা। তাই জীবের জন্ম মৃত্যু সবই পর্যায়ক্রমিক কোষীভূত সৃষ্টি ও ধ্বংস হলেও এই যুগপৎ আনন্দ আর দুঃখের মধ্যেই আমাদের তৃতীয় সত্তাটির বিচরণ। নিয়ন্ত্রক হিসেবে যদিও বা বিজ্ঞানের কিছুমাত্র হাত থাকে, তাঁর ব্যাপ্তি বা ধরন একেবারেই বায়বীয়। এ এমন বিয়োগনীতি যা সংখ্যাতত্ত্বের অজ্ঞেয়। এখানেই হয়তো বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। এই সীমাবদ্ধতার অনুকুলেই ভাষার প্রকারান্তর। সুরের ওঠা নামা। ভৈরব আর মালকোষের আবেদন মুহূর্ত আর তাঁর স্পর্শকাতরতা। ‘কারুকৃতি’ অনলাইন পত্রিকার এলিজি সংখ্যাটি এই স্পর্শকাতরতার স্বাক্ষর। |