যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া
সমর্পিতা ঘটক
গৃহকর্মে নিপুণ নারীর শ্রম কোনোকালে স্বীকৃত হয়েছে? নারী মন? সে তো নাকি ঈশ্বরও বোঝেননি। স্ত্রী হল সেই ব্যক্তি যে ছায়া মায়া দেবে, আশ্রয় দেবে, সোহাগ করবে। তার ছায়ার কথা কে ভাববে? তার পিপাসা, কান্না, ছুটি… নেই নেই। তাই তো এই লেখা, এইরকম হাজার হাজার লেখা হবে আজকের দিনে। নারীদের সম্পর্কে এই ধরণের কথা লিখলেই একদল পুরুষ রই রই করে তেড়ে আসবেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা সকলে একচোখো নন কিন্তু সমাজ চায় আপনাদের এবং পুরুষতন্ত্রের পূজারী অসংখ্য নারীকে একচোখো বানাতে। ছায়া মানে কিন্তু অভিভাবকত্ব নয়। ছায়ার নামে নাবালকের মতো নারীর ওপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজারহাজার শতক ধরে, সে গল্পও বড়ো একঘেয়ে। “গৃহস্বামী নারায়ণ কিছুই করেন না শুধু থেকে যান অনন্ত শয়ানে গৃহস্বামী নারায়ণ থেকেও থাকেন না তবু না থাকলেও ফাঁকা ফাঁকা লাগে। গৃহস্বামী নারায়ণ কিছুই বলেন না খেতে খেতে মা লক্ষ্মী কেবল রেঁধে ভাল শুনতে উৎসুক থাকেন। …আঘ্রাণে আঘ্রাণে বেলা কেটে যায়, হাতে ভাত শুকোতেই কড়কড়ে নয়ন।” (দেবতা, যশোধরা রায়চৌধুরী বই— পীড়াসমূহ) পাঠক ভাবছেন এসব অতীতে ঘটত, এখন ছবিটা এতটা একপেশে নয়। যুগ বদলানোর সঙ্গে ধরণ বদলে যায়। ব্যস্ত স্বামীর তঠস্থ স্ত্রী, চাকুরিরতা দম্পতির ক্ষেত্রে সন্তানের স্কুলের মিটিং, অতিথি আপ্যায়নে স্ত্রীর বাড়তি দায়িত্ব, কর্পোরেট জগৎ এবং সংসারের খুঁটিনাটি— ভারসাম্য বজায় রাখতে রাখতে ক্লান্ত মেয়েদের ঘিলু পাক খায়, শরীর পাত হয়। ঘরে থাকা স্ত্রীদের তো কাজের সময়ের ধরাবাঁধা ব্যাপার নেই। ভোর পাঁচটা ছটা থেকে শুরু হয় কাজ। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই, ছুটি সংসারের মর্জিমাফিক মেলে। ফাঁক ও ফাঁকি দেওয়ার অবকাশ হাস্যকর। একবার গেঁয়োখালি গিয়ে দেখেছিলাম, সারা দুপুর পুরুষেরা ডিম বাঁধাবাঁধি খেলছে অর্থাৎ জুয়ো আর বাড়ির বউ সংসারের জোয়াল থেকে গোয়াল সব সামলাচ্ছে। চায়ের দোকানে চা, রুটি, ঘুগনি বিক্রি করছে। শহরে মানসিকতা অনেকটাই বদলালেও গ্রামেগঞ্জে মেয়েদের লড়াই অনেকখানি বাকি। মেয়েদের পোশাক, এয়ো চিহ্ন, পুত্র সন্তানের প্রত্যাশা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এখনও। আমরা মেয়েরাই বা কতটা দায়িত্ব নিই এই বৈষম্য ঘোচাবার? সাঁলো, মল, অনলাইন বাজারে স্পেশাল গিফট কুপন নিয়ে আমরা মেতে থাকি ফাঁপা উৎসবে। কাগজে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন, ফরসা হওয়ার ক্রিম, বিয়েতে ভাত-কাপড়-কন্যা সম্প্রদানের রেওয়াজ, কালো-ফরসা, পাত্রী দেখতে আসা, এমনকি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও সব কিছুতেই প্রভুত্ব আর নয়তো পাইয়ে দেওয়া। করুণা। ‘থাপ্পড়’ ছবিটার কথা মনে পড়ে? মেয়েটির নিজের ভালোলাগা সরিয়ে রেখে সংসারে আত্মনিবেদনের মধ্যেও ভালোবাসা ছিল ভরপুর কিন্তু স্বামীর রাগের মাথায় তাকে চড় মারার মতো প্রভুত্ব কোন যুক্তিতে সয়ে নেবে মেয়েটি? শান্ত, সুশীলা ঘরের বউটি প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। গর্জে ওঠে। শেষ দেখে ছাড়তে চায়। টিভি সিরিয়ালের গল্পগুলোয় মান্ধাতার আমলের সংস্কারগুলো দেখানোর কারণ হিসেবে নির্মাতারা দর্শান, “দর্শকরা এরকমই দেখতে চান।” এও বলা হয় দর্শকদের বেশিভাগই নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত বাড়ির গৃহবধূ। সিরিয়াল যখন আসেনি তখন এই গৃহবধূরা হয় রেডিও শুনতেন, পেশাদারি থিয়েটার দেখতে যেতেন, সিনেমা দেখতেন। এই একই ধরণের ফর্মূলার বিনোদন তখন ছিল না, সংস্কারের বেড়াজাল তখনো ছিল। তাহলে কি বর্তমানে আমাদের রুচির অধোগতি এমনই যে সিরিয়ালে দেখাতে হয় মেয়েদের জীবনের উন্নতির অর্থ হল বিয়ে, সংসার সামলানো, শ্বশুরবাড়ির কিংবা স্বামীর মন জয় করা, অন্ধ সংস্কার পালন, বেপথু স্বামীকে ক্ষমা করে সর্বংসহা হওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকা? কিছু ব্যতিক্রম আছে কিন্তু মূলত এই ফর্নুলাতেই গল্প এগোয়। এমনকি নারীদের নিয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোতে দেখেছি মহিলা সঞ্চালক মেয়েদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “ঘরের কাজ কিছু পার”? অভিনয় বা অন্য পেশায় সফল মেয়েদের জন্য এই প্রশ্ন অবাধারিত আর ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রশ্ন বদলে যায়। পুং কাঠামো রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজমান। কমেডি-শোগুলোয় মেয়েদের লোভী, মগজহীন, সাজগোজে মগ্ন, বিয়ে-পাগলা, সমাজে অবদানহীন এক অদ্ভুত প্রাণী হিসেবেই দেখানো হয়। স্ত্রী বস্তুটি কতটা বিভীষিকাময়, পুরুষদের জীবনে কতটা তারা হানিকারক তা বোঝাতে হাজার হাজার চুটকি, জোকসের উৎপাদন জারি থাকে, পুরুষদের মেয়ে সাজানো হয় টিআরপির জন্য, তারপর স্থূল, ভোঁতা, বোকা এক প্রজাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, গায়ের রঙ নিয়ে রোস্ট করাও নাকি এখন কমেডি। বাজার নির্ধারিত এসব অনুষ্ঠান কি সর্বদাই পুং-কাঠামো দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে? যারাই ব্যতিক্রম কিছু ভাবতে গেছেন তারা টিকতে পারছেন না। স্ত্রীদের সমস্যা নিয়ে যেসব কলামগুলো আগে পত্রিকায় বেরত-সেসবে অবৈধ প্রেম, শারীরিক সুখ, বিবাহ নিয়ে আইনি জটিলতা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বেশি পরামর্শ থাকত। নারীর চেতনার উন্নতি, রাজনীতি-সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ, মানসিক অসুখ, মহিয়সী নারীদের জীবন, সংগ্রাম নিয়ে লেখা কি খুব বেশি থাকত? এখন কিন্তু চিত্রটা বদলেছে। সমাজমাধ্যম আসার পর অনেক জানলা খুলে গেছে মেয়েদের জন্য। সে শুনতে পাচ্ছে, জানতে পাচ্ছে দিগন্তের খবর। বাগান থেকে বার্গম্যান-পছন্দমতো বিষয় মেয়েদের হাতে। তারা নিজেদের পছন্দমতো বিষয় নিয়ে কাটাতে পারে অবসর। ব্যক্তিত্বে, মেধায় অসাধারণ নারীদের সুন্দর মনে হয়েছে চিরকাল, অথচ নারীর সৌন্দর্য এমনভাবে বর্ণিত হয়ে এসেছে, পুরুষের চোখে স্ত্রীয়ের রূপ হতেই হবে মোহময়ী, নিখুঁত, নায়িকার মতো। ফেয়ারনেস ক্রিমগুলো বিজ্ঞাপনে দেখায় সুন্দরী হওয়া তোমার একটা গুণ। কালো হওয়া এক অপরাধ। তার প্রতি করুণা বর্ষাও। হ্যাঁ, এখনও। মনে পড়ে গেল কবি মীরা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা— মেলানিন, আহা! মুগ্ধতা, মুগ্ধতা এবং মুগ্ধতা ঈর্ষা ও বিস্ময়ে অপলক চেয়ে থাকি তোমাদের মুখশ্রীর দিকে যেখানে গুচ্ছ গুচ্ছ অবহেলা ভরে ফুটে আছে মেলানিন, অনায়াস প্রাচুর্যে অপারাজিতার মতো। তোমরা বোঝ না কিন্তু আমি বুঝি, অনুভব করি এই বন্ধুহীন, প্রেমহীন স্পর্শদোষ এড়ানো জীবন কতখানি কষ্টের… মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি ভাগ্যহত এ্যালবিনো মানুষ কৃষ্ণগহ্বর থেকে শুষে নিচ্ছে গণ্ডুষে গণ্ডুষে রাশি রাশি মেলানিন, আহা! (বইয়ের নাম— বিরহের অতুলপ্রসাদে) আত্মপ্রত্যয়ী মেয়েরা দিন বদলাবেই। এই আশা নিয়ে ঘর করি। বদলাচ্ছেও। এখন তাদের পরিসর অনেক বড়ো। শুধু একটা কথা মনে হয় পরিসর বড়ো করার তাগিদে বা উত্তর আধুনিক যুগের নিশান ওড়ানোর সময় যেন মনে রাখি আমরা- ক্ষণস্থায়ী, দায়সারা, ঠুনকো অথচ জেল্লাদার কিছু ঘটনার দ্বারা মহৎ কিছু হয় না। সকলের কাছে পৌঁছয় নাকি নারীদিবসের তাৎপর্য্য? “যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া” কি বলতে পারি আমরা? সন্দেশখালি, উন্নাও, হাথরস, কামদুনি, এক হয়ে যায় অত্যাচারের, শোষণের, নির্যাতনের মানচিত্রে কিন্তু শহরের বুকে স্ফুলিঙ্গ আঁকে না এসব ঘটনা। বরং আমরা বেঁচে থাকি নারী দিবস, বসন্ত উৎসব পালন করার পরিকল্পনায়। মালীবউয়ের সংসার দেবারতি মিত্র উমনোঝুমনো লতায় কখন ফুল ফোটে মালীবউয়ের হুঁশ থাকে না, সে ফুল দেখেও না, চেনেও না, সন্ধেবেলা জ্বলন্ত উনুনে শুকনো কাঠ গুঁজে দেয়। ফাগুনের বাতাস কখনও হাওয়া, কখনও ঝড়। কোলের ছেলের কান্না মশার বিনবিনানির মতো। ফুলবাগানের মধ্যে মালীর ঘর— গাছপালার সোঁদা গন্ধ ভাসে, চাঁদ বোধহয় খানিক পরেই উঠবে তাই পুব দিক আবছা রাঙা। মালী সারা দিন খাটাখাটনির পর মাদুরে শুয়ে ঘুমোচ্ছে। মালী বউ, ফুলদানি নয় একেবারে অন্য রকম আকৃতির জলভর্তি হাঁড়িতে চাল চড়ায়… উনুনের সামনে গ্রামের একমেটে দেবীমূর্তি বসে, ভাত ফুটতে থাকে— ফাগুনের সন্তপ্ত হাওয়ায় ভাতের গন্ধ অন্ধকার সন্ধেয় গাছের ছায়ার মতো ঘন হয়ে ওঠে। দেবী আর মানবীর ফারাক করে দেয় এই সমাজ। এই দেশ। দেবী মানেই সে শক্তির আধার আর রোজের মানবী তো অবলা, দুর্বল, পুরুষের চেয়ে খাটো। তাই সমান অধিকার? অল্প কুঁচকে যায় ভ্রু। আমরাও বাদ পড়ি না, এই দুই-দুই আচরণ আমরা মেয়েরাও মনে মনে লালন করি। স্বামীর থেকে বেশি বেতন পেলে আমাদের লজ্জা করে। মেজো জায়ের ছেলে আর আমার মেয়ে হলে মনটা সামান্য হলেও বিষণ্ণ হয়, বিয়ের পর মেয়ের বাড়ি মানেই পরের বাড়ি হয়ে যায় অচিরেই। তাই তো সরকারকে রোজ ক্যাম্পেন চালাতে হয়। বেটিকে বাঁচাতে হবে, পড়াতে হবে। পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে বাদ পড়ে না কেউই। বেটি হলে টাকা পাবে, সাইকেল পাবে স্কুলে যাওয়ার জন্য… এইসব টোপ দিতে হয় রাজনীতিতে। হাত পেতে এসব ভেট নিতে নিতে পিছিয়ে পড়ি আসলে। প্রতিভা সরকা্রের ‘মেয়েদের কথা’ বইটির একটি চমৎকার বাক্য মনে গেঁথে গেছে, “পিতৃতন্ত্রের থেকে ধূর্ত এবং কৌশলী আর কিছু আছে নাকি।” আমার বাবা মা যখন ২০১১ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করল তখন দেখেছি চেনামানুষদের প্রশ্ন। সকলের নয়। অনেক মানুষ আমায় অবাক করে দিয়ে বলেছেন— “খুব ভালো করেছ তোমরা। এইটাই ঠিক।” তেমনি কতজনের প্রশ্ন শুনেছি… “একসঙ্গে মানে? আলাদা ফ্ল্যাট নিশ্চই?” বাবা অনেকদিন পর্যন্ত এইসব প্রশ্নে কুন্ঠিত হতেন, উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। মেয়ের কাছে বাবা মা থাকবেন, নিজের মতো করে থাকবেন এ যেন এক চরম ব্যাপার। বাবা মার মন বিমর্ষ হত, আমি জানি। বিয়ের পর মেয়েকে পর করে দেওয়া সম্ভব হল না বলে যারা ভুরু কুঁচকেছেন তারা পরবর্তীকালে মেয়ে জামাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে থাকুন, আমি চাই। মেয়েদের লেখালেখি নিয়ে হাসিমস্করা করে এসেছে এই সমাজ। বিশেষ করে ঘরে বসে থাকা স্ত্রীদের কল্পনা, কবিতা, বৃহৎ ও মহৎ ধারণা নিয়েই সন্দেহ করে গেছে পুরুষ লেখক, চিন্তাবিদ এবং আপামর পুরুষজাতি। সেই চারুলতারূপী মাধবী যেমন পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা নিয়ে ছুটতে ছুটতে এসেছিল অমলের ঘরে— ওই দৃশ্যটি মনে পড়ে। এখন দৃশ্যের বদল হয়েছে। এখন আবার লেখার আধিক্য নিয়েও মস্করা ছুটে আসে। কিন্তু বহুল জনপ্রিয় শারদীয়া পত্রিকাগুলোয় মেয়েদের লেখা গল্প, উপন্যাস খুব কমই থাকে আজও। অসম মানসিকতা নিয়ে লিখে গেছে মেয়েরাই। কবিতা সিংহের অনেক কবিতা জ্বলজ্বলে প্রতিবাদের মতো বুকের মধ্যে ভাসে। কিন্তু আজ শেষ করি ওই পীড়াসমূহ বই থেকেই যশোধরা রায়চৌধুরীর আর একটি আমার প্রিয় কবিতা দিয়ে। ফুটবল খেলিনি বলে ফুটবল খেলিনি বলে মাঠ আমি চিনি না বলছ ফুটবল খেলিনি বলে গতিময় বল চালাচালি আর পেশীর সবল উদবোধনে সবুজ মাঠের চৌকো আকারের অনিবার্য গসাগু লসাগু কষিনি কখনও তাই কবিতায় ছন্দ মিল রহস্যরোমাঞ্চ সব ফাঁকা। উৎপাত করিনি বলে যথেষ্ট সাহসী নই, বলো আড্ডার উঞ্ছবৃত্তি, আগে পিছে রাত বেড়ে যাওয়া আর মাতাল মাতাল কথকতা রান্নাঘরের আঁচে সিদ্ধ হওয়া যুবতী বধূর শুধু কাপ কাপ চায়ের জোগান সেসব করিনি আমি উৎপাত। অসহ্য যাপন। গিন্নি ভেতরে থাকবে, মাঝে মাঝে ঠুং ঠাং ছুড়ি মাঝে মাঝে ছিটকিনির কড়া খটখটান এসব ছিল না বলে কবি হওয়া হল না তেমন আমি শুধু শতরঞ্চি, চায়ের ফ্লাস্ক, এক তাড়া বই নিতে চলে গেছি ছাতে, হ্যারিকেন জ্বেলে সন্ধে অব্দি চুল মেলে বসে বসে দিবাস্বপ্ন করে রাতে নেমে আসি যেন পিশাচিনী, ভূতিনী, প্যাতন। আমার কবিতা তবে আকাশের তাকে তাকে রাখা থাকবে না আর, হে সর্বজনীন সিদ্ধ নিপাতন? |
গতকালই লেখাটা পড়েছিলাম।মন্তব্য করা হয়নি।সজ মন্তব্য করতে এসে জানি না কেন আবার পড়লাম। সমর্পিতাদি’ বরাবরই আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। কিন্তু নারী দিবসের লেখাটা কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে একদম গ্রাসরুট লেভেল থেকে মেয়েদের কথাকে তুলে আনা। বিজ্ঞাপন হোক বা মহিলা সঞ্চালকের প্রশ্নপর্ব।দারুণ লেখা। আর হ্যাঁ জুয়ার যে এমন একটা প্রতিশব্দ আছে সেটা জানলাম এই লেখা পড়ে
অনেকখানি ভালোবাসা নিও পিয়াংকী। প্রাণিত হলাম তোমার কমেন্ট পেয়ে। প্রাপ্তি আমার।
অনেকখানি ভালোবাসা নিও পিয়াংকী। প্রাণিত হলাম তোমার কমেন্ট পেয়ে। প্রাপ্তি আমার।
সমর্পিতার লেখা বরাবরই বলিষ্ঠ!