শ্যামশ্রী রায় কর্মকারের দুটি কবিতা
বিলাপ মৃত্যু এসে হাঁটু মুড়ে বসে আছে বুকের ওপর মর! মর! মর! তুমি তাকে প্রাণপণে সরাচ্ছ দুর্বল হাতে ঠেলে কেঁপে উঠছে হৃদয়ের মাঠঘাট অরণ্য ব্যথা চরাচর দূরে যাই উড়ে যাই স্মৃতিটি পোড়াই দুটি হাতে কেঁখে নিই বেদনার ছাই ক্ষিতি ভরে ঢালি তাকে ভুলে যাই আমি থাকি মরুৎ নগর অস্ত-মতিকে শ্যামশ্রী রায় কর্মকার মালিন্য যা ছিল, তুমি ফেলে রেখে গেছ মৃত্যুর চাদরে, বাক্যপটিয়সী ছিলে সকলি তোমার ইচ্ছা, সুরম্য নিখিলে ভেসে যাও অস্ত-মতি, কিছুই বলব না বলব না শূন্য লাগে বলব না কালো পরিত্রাণ কেড়ে নেয় ছুড়ে দেয় তাপে যাদের চেয়েছ তুমি, পাওনি সন্তাপে এখন কীভাবে দাও জল-মিষ্টি-ধূপ? জীবন কেশব ছিল মোহন সে রূপ দেখলে না তুমি, দেখলে না |