রত্নদীপা দে ঘোষের দুটি কবিতা
প্রজাপতি ১ হামেশাই পালক ঝরে তার গা থেকে, রমণীয় প্রাসাদটি জুয়ার মহল্লায় ভিজে কাদা বুকের ডিঙিকথা শুকনো পাতার তৈরি ভাসানের নৌকো ঘোষনা করে বিসর্জনরেখা মরীচিকা জীবনের পরতে পরতে ভাঙা হাড়গোড় রক্তাল্পতা বসেছে জেঁকে নিত্য খুন লাল জরায়ু বাদামী খুপরি সাত মাসের গর্ভ হারায় নোঙরের উপত্যকা তবুও প্রজাপতি সে বর্ণিল ঝিলিমিলি চোখের খলিফায় প্রার্থনার অলিন্দ সকাল সন্ধ্যায় করজোড়ে তুলসীতলায় “ব্যাধি মোছো হে শঙ্খফুঁ! সুখী থাকো ওগো বিবাহ!” প্রজাপতি ২ ধোঁয়াদার চায়ের কাপে ঠোঁট পুরুষালি প্রতি চুমুকে এমন সুখটান আর কোথায়! সামান্য টোলখাওয়া! ঠাহর হয় না,স্রোতের গরম কোনদিকে কতোখানি অনুপান? বিস্কুট? কালোজিরা? প্রজাপতি? মৃদু মাখনঘেরা? আসল কথা হোলো চা-পান মিঠা এবং কড়া বড় ব্যাপার নয় আদৌ। চা তো যখন তখন কতো আর দাম! তবে কোনো কোনো চা নিকোটিনের সমান হাত ধরে টানলে টলমল করে পায়ের তলার মাটি একবার একটি কিশোরী চায়ের কথা পড়েছিলাম কাগজে দাঁত এমন রাক্ষুসে ছিল সে চায়ের কুঁড়ির বোঁটায় জিভের ছুরি এক ছোঁয়াতেই পুরুষের ইন্তেকাল! |
অসাধারণ দুটি লেখাই।অসাধারণ