বিদিশা সরকারের দুটি কবিতা
স্পর্শকাতর ট্র্যাফিক সিগন্যাল আসন্ন সন্ধ্যার ব্যস্ততা থামিয়ে দেয় রেড সিগন্যাল এই রেড শব্দটার ইজ্জত বেরহেমি অথবা সবক শেখাতে সংস্কৃতি সচেতন একটা শহর বিশেষ করে ওই জায়গায় জানলার কাঁচ উঠিয়ে দেয় চ্যারিটির মুখোশ কেউ কারোকে দেখতে পাচ্ছে না বা চিনতেও তার জানলার কাঁচ হঠাৎ নামিয়ে গিলে নিচ্ছিল কার্বন আসন্ন বৈধব্যের অন্যমনস্ক সূচিশিল্প ছুঁয়ে পথনাটিকার বারবনিতা অপলকে দেখছিল অস্পষ্ট সিঁদুর একশো টাকার নোট থেকে শর্টনোট লালবাতির কাউন্ট ডাউনে একজন নারী আরেক জন নারীর ছোঁয়ায় শিবরঞ্জণী জলধি তরঙ্গ তবলার লহড়া অপরিচিত এক স্পর্শ বিনিময়ে দিয়ে গেল একটা স্ট্রবেরির বাক্স সম্পর্ক যোজনার শেষ পৃষ্ঠায় লেখা থাকবে বৃহন্নলার ঔরসজাত আভোগি আলাপের স্বরলিপি তৃতালে শেষ চিঠি কিছু লতাপাতা ফুল… মাঠ নদী ওয়াজেদ আলি সেই ট্র্যাডিশন ছোট ছোট যোগফল বিয়োগ ব্যথায় বিটাডিন হাঁটু মুড়ে অঞ্জলির দিনে একটা ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে লেখা সুতমিতরমনী সমাজে… তখন থেকেই সব অপরাধ চোরাসুখ অথবা চালান ডাস্টারেই মুছে ফেলে কারেন্ট কারেন্ট ইস্কুলের লাগোয়া পুকুরে মেঘ করলে আকাশ ছাতা হয়ে যেতো তখন তুই ছিলিস না তখন তুই চতুর্থ শ্রেণীতে আমার সাইকেলের পিছনে চুপটি করে পাও-ভাজি’র কলকাতায় ওপেন রেস্তোরাঁর দঙ্গলে হারিয়ে ফেললাম তোকে মুখাগ্নির আগে যারা সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিল তাদের সঙ্গেই ফিরে গেলি জোনাকি শহরে দেশের বাড়িতে আমার পারলৌকিকে আমাকে পাবি না আর তবুও দেখে যাস খাস মহলের আয়োজনে অতিথি সৎকারের পরে দু’মিনিট নীরবতা |