পৃথা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
একটি শীতল রাতে (বাবার জন্য এলিজি) কন্যাকুমারিকা ঘুরে তুমি এলে খুশিতে উচ্ছ্বল সে মানুষ, অন্য রূপে ক্লান্ত দেহ-মনে চুপ করে ছিলে খুব বারবার চেয়েছিলে নিজের বাড়িতে যেতে আজন্মের রাস্তা-ঘাট, বন্ধু ও স্বজন অপেক্ষায় ছিল তারা পরম স্নেহের টানে চিরদিন রেখেছিলে কাছে তুমি চলে গেলে, সেই নামে কেউ আর ডাকে না আমাকে শীত রাতে শূন্য করে চলে গেলে জীবন ভাঁড়ার অশুভ ইঙ্গিত ছিল খসে যাওয়া অমোঘ তারার চারিদিক চুপ ফিরে গেল ট্যাক্সি এসে দরজার থেকে বাকরুদ্ধ হয়েছিল মা, এর আগে কখনো ঘটেনি যা… তবু আজ মনে হয় হয়ত বা কিছু থাকে প্রাকৃতিক আইশারায়… বুক ফাটা হাহাকারে ভয়ঙ্কর শীত তার চেয়ে শীতল নিথর হলো তোমার শরীর কিছুই হলো না শোনা শেষ কথা এভাবে কি চলে যায়? অসমাপ্ত কত কাজ কিছুই হলো না বারবার বলেছিলে, ‘ঐ তো আমার মা এসে গেছে নিতে, ছেড়ে দাও আমি চলে যাই’ সত্যি কি এসেছিল কেউ তোমাকেই নিয়ে যেতে! কখনো ভাবিনি তুমি এইভাবে নিঃস্ব করে যাবে সুযোগ দিলে না কিছু, ব্যর্থ হল এ শহরে থাকা শূন্য আকাশের নিচে রেখে গেলে, বৃক্ষহীন, একা |