পিয়াংকী

পিয়াংকীর কবিতা

একটি পজিটিভ এলিজি
 
বিলুপ্ত কৃষ্ণদ্বাদশী জানে…
বরাবরই তুমি আলেয়া চেয়েছ।
ভাটির দিকে ফিরিয়ে দিয়েছ বিকৃত আঙুল
লোকলজ্জার ভয়। গোড়ালি ভেজানো জলে ফেলেছ দু’ফোঁটা হাহাকার
 
ফেরীঘাটের জেটিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা গুনে গুনে তুলেছে আদিম বলাৎকার
 
যাদের ঘরে জ্বলেছিল উনুন,
তারা জানে না বিলাসবহুল এলিজির সংজ্ঞা
 
পোড়া মাটির কলসীতে রাক্ষস ঢুকে ছিন্নভিন্ন করেছিল তাদের  স্তনের কুঁড়িতে ফোটা সাদা শালুক
ঢিলেঢালা আলখাল্লা পরে দুই বিনুনির ভেতর
পুঁতে দিয়েছিল সহজলোহা
 
সময় মেপেছে দাঁড়িপাল্লার জ্বর
উষ্ণ ঠোঁটে এখন চিলের হতাশা
কার্তুজে ফুটো হওয়া ঘুলঘুলি। প্রতিটিতে অদৃশ্য সন্ত্রাস
 
মাঝির পোশাকে  মাছ, অচেনা সরিসৃপ
তবু গোধূলির অছিলায় রাখাল বালক স্নান সেরে নেয় মাঝগঙ্গায়
তাঁর গলায় ঝোলানো আছে প্রজাপতি-সভ্যতা
 
…এখন সেখানে উপনিবেশ তোমার,
দু’চার দাঁড়কাক আর একবুক জল
স্নানঘরে ধুয়ে যাচ্ছে নীলপাপগ্রহ
ভিতরকার দানবের প্রায়শ্চিত্ত, রঙিন অ্যাকোয়ারিয়াম
 
জন্মান্তর নয়– এই মুহূর্ত থেকেই তোমার শরীরে ধারণ করো জোঁকের শাঁখ
 

Leave a Reply