নিমাই জানা

নিমাই জানার দুটি কবিতা

১ দশমিক মৃত্যু ও সুদীপ মান্নার লালাভ ক্রোমোজোম বীজ

একিউট সেরিব্রাল পালসির কোন ঋতুকালীন সিলেবাস নেই শ্রেণিকক্ষের নীল আলোর ভেতরে দাঁড়িয়ে সুদীপ মান্না বিষয়ক এক অঙ্গুরীমাল শরীর কালো স্পোরোটিক কাচ হয়ে যাচ্ছে প্রতিটি গোলার্ধের শিথিল শ্বেত প্রদরের ডানা-গুলোকে নিয়ে,

সব বর্গমূল পাথরের কাছে এসে একটি কালো বিবরের পাখি রাতের আই সি ইউ-এর ভেতর লো স্থাণাঙ্কের স্যাচুরেটেড অক্সিজেন মুখে পুরে নিচ্ছে, মৃত্যুর কোন যমজ বংশধর নেই আমরা তৃতীয় বার অব্যয়ীভাব অসুখ নিয়ে জলাধারের পাশে কৃন্তক দাঁতের ভেতরের ইনফেক্সাস রক্তকণিকার মতো অলৌকিক সাপেদের নিয়ে আস্তিক্য ভগ্নাংশের দিকে চলে যাই
রাতের বেলায় সকলেরই একটি সাদা রঙের নিজস্ব গন্তব্যস্থল থাকে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি বৃত্তাকার শরীরের চন্দ্রবোড়া উপত্যকায় একাকী নিমগ্ন সঙ্গম ক্রীড়া ফেলে আসার পর
একটা বৃহৎ ধাতব মন্দির ঘণ্টাটি চারটি ডিম্ব কোষের ওপর বসে আছে উলুপি নারীদের গর্ভজাত সন্তানের মতো,
এক পূর্ণ দৈর্ঘ্যের শাঁখ বাজলেই মাটির ভিতরে থাকা স্বর্গ প্রদেশের দ্বাররক্ষীরা নিজেদের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার পর রক্ত বমির পাত্রটি দ্বিখণ্ডিত মাথার ভেতরে ঢেলে দেয়

ছায়াছবির মতো রক্ত প্রতিবিম্বের অলৌকিক নৌকা সন্ন্যাসিনীরা পুলিনবিহারের ক্ষেত্রফলে এসে মাটির উপরে একটা মৃত মানুষের অবয়ব তৈরি করে, আমরা চাঁদের মতো উপত্যকাহীন সাপ ধরে ধরে খাই, ফেরিক ক্লোরাইড মৃত্যুর মতো দুটো ভোগপুর এঁকে ফেলছি মৃৎশিল্পীর মতো সাদা ভ্রূণবীজ দিয়ে

ইছামতির মহাঘোর চৈতন্য ও পারমুটেশন মুদ্রাযোগ

নীল ধ্রুবতারার অলৌকিক সন্ন্যাসিনী ইনসোমনিয়া রক্তগুচ্ছের মতো প্রবাহী নিরাপদ উদ্ভিদেরা একটা অলৌকিক রাতের ভেতর পৃথিবীর সব রক্তাল্পতাহীন উপসর্গের কবিতা লিখে ফেলেছে, কাটা কাটা গলার ভেতর থেকে আমি সুদৃশ্য ডানাওয়ালা কালো সংক্রমিত জিওল মাছগুলোকে আকাশের দিকে উড়িয়ে দিচ্ছি পালকহীন রাতের হাফ পেটিকোট মূর্ধণ্য বিন্দু জলে ডুবিয়ে

ইছামতির বাৎসায়ন প্রদেশের অলৌকিক পিতা রঙের পরিযায়ীরা অশোকের ভেতর নীল রঙের ঋষি সেজে বসে আছেন চতুষ্পদী আগুনকে পোড়ানোর জন্য, ব্রণ ফল কি খেয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের একটা কৃষ্ণ কমলালেবুর দাঁতের প্রয়োজন ছিল আমি স্তনের ছিদ্র থেকে দুটো মহা বিষুব যোগমুদ্রা বের করলাম
আমরা একাকী নিঝুম কীর্তনীয়ারা দুই আঙুল দিয়ে খুঁড়ে দিচ্ছি এ পৃথিবীর গলিত মধ্যরেখার ২৩ ডিগ্রি অক্ষাংশ,
নীলকমল অন্তর্বাস বিপণীর নিচে যে মরচে রঙের হুকগুলো ধরে ঝরে আছে পৃথিবীর ক্ষয়জাত মালভূমি আমি টকটকে বেদানা ফলের মতো কাটা যোনিখণ্ডে দুই আঙুল ঢুকিয়ে আরো একবার কাঁচ ফলের মতো গলে যাওয়ার চেষ্টা করছি হৃষীকেশ বিষধর ছায়াগুলোকে তরল গিলে নেওয়ার পর, পরমাত্মা ভুমধ্যনগরে যেতে যেতে আরো একবার অবৈধ ব্রহ্মা হয়ে যাচ্ছেন

মহাঘোরের চৈতন্য পোশাকের চেরা চেরা জিভের পরিত্যক্ত পারমুটেশন খেয়াঘাট থাকে বলে রাতেই হিস্টিরিয়া পাখিগুলো রগরগে সোডা মাখা অ্যালকোহলিক শ্মশান বন্ধুদের মতো আমিও জ্বলে উঠি গোলাপি বেগনভেলিয়ার নিচে,
একটি উৎক্ষিপ্ত পূঁজ দুর্গন্ধ ও সাদা কাগজের মতো একটা জমাট মাংসপিণ্ডের পচে যাওয়া মুখের মতো বিদীর্ণ স্তনের মৃত্যু বিষয়ক সব কবিতায় আমি পরকীয়া রোদ মেখে পেরিয়ে যাই চন্দ্রকোণার খনিজ ভর্তি শ্মশান,

অতিপৃক্ত দ্রাব্যতার মাটির কুঠুরির ভেতর বসে আমাদের মতো অজরায়ুজ তিনটি হৃদরোগী টেলমিসারটেন নাব্যতা লিখছি, এসো পৃথিবী, তোমার কর্কট সরোবরেই আরো একবার স্নান করি

Leave a Reply