দেবাশিস ঘোষের কবিতা
দিদিমাকে তোমার সর্বহারা কাঁথায় রেখেছ হিরের মতো দুঃখী আমাকে বলেছ ব্যাঙের কথা বিধবার একটিই ধন, কুমীর থেকে ফের মানুষ না হতে পারা নদের চাঁদ দুঃখী মায়ের ডাকে ঘাটে এসে খেয়ে যেত রোজ উঠোনে কাঠের আঁচ গরম চিতই পিঠে দ্রুত ফাঁকা থালা হাঁটুতে ব্যাধির ভার, বিছানায় দশক দেড়েক জানুয়ারি জ্বলে ওঠে, চূর্ণীপার কাঠের দহনে অবাধ্য বয়স দোষে কিছু ব্যথা ছুঁড়েছি তখন বাড়িতে ফেরার পর দেখেছি শূন্যতা এসে জ্বেলে দেয় বুকের ভিতর দু’দশক পুড়ে গেছে ভুলিনি ভুলিনি সেই সবুজাভ দিন এখনও রাত্রি হলে, কিংবা কোনো ছায়ার প্রহরে ভাবি কেন কিছু দুঃখ তোমাকে দিয়েছি শেষকালে! |