দীপান্বিতা রায়
প্রিয় সায়ন্তন পাবলিকেশন, মনের গভীরে জমাট বাঁধা শব্দগুলি যখন কন্ঠকে রোধ করে, যখন তৃষিত প্রাণের আর্তি চাতকের মতো ভালোবাসার ভিখারীর পোশাক পড়ে সামনে দাঁড়ায়। আবার কখনো কোন শিশুর প্রাণ খোলা হাসি নাড়া দেয় সদ্য মাতৃত্বের সাধ পাওয়া রমণীকে । যখন প্রিয় মানুষটিকে সেই অনুভূতি ব্যক্ত করতে চায়, ঠিক সেই মুহূর্তেই একটু কাগজ যেন মেঘের নৌকা বেয়ে কথার সাম্রাজ্যে তাকে নিয়ে যায়, আপন ভঙ্গিমায়। এক টুকরো টুকরো না বলা কথাগুলি যেন এক লহমায় প্রকাশিত হয় কিছু কলমের ভালবাসায়। নতুন নতুন আঙ্গিকে ধরা দেয় পত্র। পত্রের প্রয়োজনীয়তা সেই সুদূর কাল থেকে তাৎপর্যপূর্ণ । কিন্তু পত্র কখনো সাহিত্যের অবয়ব হয়ে ওঠে। যাকে আমরা বলি পত্র সাহিত্য। “সাহিত্য” শব্দটিকে ব্যাখ্যা করলে পাই, সহিতের যোগ অর্থাৎ যা নিজের পক্ষে মঙ্গলজনক। সাহিত্যচর্চা সব সময় মানুষকে তার নিজস্ব এক অলৌকিক জগতের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে। একজন সুপাঠকই অনুধাবন করতে পারেন , সার্থক সাহিত্য কিভাবে উপদেয় হয়ে উঠেছে তার নিজের উন্নতি সাধনে। পত্রের বহু আঙ্গিক আছে। কিন্তু পত্রসাহিত্য যে শুধু এক ভালোলাগার অনুভূতি। যে অনুভূতি শুধু ভালোলাগার মধ্যেই আবদ্ধ থাকে না, উন্নতি সাধনে, তথ্যের বহুলতায়, নিজস্ব ছন্দে, ভাবের বিশালতায় পরিপূর্ণ থাকে। তথ্যের কথা বলতেই মনে পড়ে স্বাধীনতার প্রাক্ পর্বে যখন বিপ্লবীরা দেশের জন্য লড়াই করেছেন, তখনই কিছু কাগজের ইঙ্গিতে লেখা থাকতো কিছু কথা। সেই কথাগুলি বিপ্লবীরাই বুঝতে পারতেন। এই ধরনের চিরকুটের গল্প আমরা অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনী পাঠ করলেই বুঝতে পারব। ইতি- দীপান্বিতা রায়। তা-১৪ অগাস্ট,২২ |