চিরশ্রী দেবনাথের দুটি কবিতা
কবিপত্নী শহরে স্মরণসভা, ব্যথাকাতরতা সেই স্মরণসভায় স্ত্রীদের যেতে নেই কেউ এসে বলবে কবি তার খুব কাছের ছিল, স্ত্রী জানেন না অথচ মেয়েটির সঙ্গে কবির বহু বিকেল কেটেছে যেসকল গোধূলি স্ত্রী পায়নি অন্য কেউ পেয়ে কবিতা লিখেছে অভিমান নয়, নিস্ফল ক্ষোভে শূন্য হয়ে যাবে বুক সভা থেকে ফিরতে ফিরতে স্ত্রী ভুলে যাবে মৃত্যুশোক … ধূসর শাড়িতে ফুটে উঠল যেন রঙিন কল্কা। বোধন কবি মারা গেছেন। তিনি বেঁচে উঠছেন। লোহা গলে গলে মিশে যাচ্ছে আগুনের সঙ্গে একমুঠো শিশির এখনো তার হাতের মুঠোয়, বাষ্প হচ্ছে না, প্রিয় মানুষের ছায়া নিয়ে টলটল করছে ছেড়ে যাওয়া পৃথিবীর মুখ একদিন সে ভালোবেসেছিল একদিন সে অপমান সয়েছিল একদিন সে চুপ হয়ে গিয়েছিল তারপরও যেতে পারেনি, সরাতে পারেনি নিঃশ্বাস কবি চলে যেতে যেতে না-লেখা শ্রেষ্ঠ কবিতাটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে দিচ্ছেন তাকে শীতের বনে তারা ছড়িয়ে পড়ছে ট্রাম লাইনের মতো, আর বিকল হৃদযন্ত্র শেষবার চুমু খাবার লোভে আটকে রাখছে ঘন বাতাস। |