আফছানা খানম অথৈ
সিনথিয়া আমার একগুচ্ছ রজনী গন্ধার সুবাসমাখা ভালোবাসা আর শশীর মায়া মাখা তারই মতো আমার হৃদয়ের উদীয়মান আকাশে পরিপূর্ণ সমস্ত সুগন্ধী ফুলের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিও।আশা করি ভালো আছ। সিনথিয়া তোমাকে সেদিন প্রথম বাণিজ্য মেলায় দেখেছিলাম।তুমি অপরুপা, রুপবতী, মায়াবতী, যা আমি কেন, যে কোন পুরুষকে মুগ্ধ করবে।আমি তোমার রুপে এতটা মগ্ন হয়েছি যে, দুচোখের পাতায় শুধু তোমার মায়াবী চোখের চাহনী,আর রুপের লাবণ্যতা ভেসে বেড়ায়।যেমন তোমার চেহারা তেমন তোমার মিষ্টি হাসি।তুমি যখন ম্যাজিক বোটে উঠে ওয়াও শব্দ করে চিৎকার করে হেসে উঠলে তখনি তোমার সৌন্দর্য এমনি ভাবে ফুটে উঠল যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।বর্তমানে ডিজিটাল যুগে চিঠি বেমানান।তবুও লিখতে মন চাইল।কারণ ফোনে মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশ পায়না।আমার মনের মাধুরীতে কল্পনার করিডোরে এক নারীর বসবাস।আমি দীর্ঘদিন থেকে তাকে খুঁজছি…।কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মিলল না।আল্লাহ পাকের লীলা খেলা বুঝা বড় কঠিন।আমিতো রীতিমতো হার্টফেল করার মতো।ঠিক তখনি বাণিজ্য মেলার পার্কে তোমাকে দেখলাম। আমি তোমার পিছু পিছু গেলাম।ইচ্ছে করলো তোমাকে মনের জমানো কথা গুলো বলতে।কিন্তু পারলাম না।কারণ তোমার সঙ্গে দুতিন জন মহিলা ছিল।ওদের একজন আমাকে ফলো করলো, এবং আমি যাতে তোমার পিক তুলতে না পারি তারজন্য তোমাকে সতর্ক সংকেত দিলো।আমি তোমার নামটা জানার জন্য আঁড়ালে দাঁড়িয়েছিলাম।কিছুক্ষণ পর যখন তোমরা ম্যাজিক বোট থেকে নেমে হাটা শুরু করলে তখনি একজন তোমার নাম ধরে ডাক দিলো।আর তখনি তোমার নামটা আমার হৃদয় মন্দিরে গেঁথে রাখলাম।সিনথিয়া আমি তোমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসি।যার পরিমাপ যে কত ব্যপক তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।আমি তোমাকে অনেক অনেক অনেক…..”লাভ” করি।শুধু যে “লাভ” তা না,বিয়ে করে একান্ত আপন করে সারা জীবনের জন্য সঙ্গী করতে চাই।সত্যি সিনথিয়া তুমি আমার প্রাণ,প্রাণ ছাড়া দেহ যেমন চলে না।তুমি ছাড়া আমিও বেঁচে থাকতে পারবো না।সিনথিয়া আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।এসো দুজনে হাতে হাত রেখে শফথ করে ভালোবাসাকে সেলিব্রেট করি…।আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব। আসবে কিন্তু,তুমি না আসলে আমি ভীষণ ভীষণ দু:খ পাবো।ওকে ভালো থেকো।খোদা হাফেজ……। ইতি তোমারই মনের মানুষ রাসেল। |