আতঙ্কিত অধ্যায়

সায়ন্তন পাবলিকেশন, কলকাতা থেকে বই আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে একটা ভয় আমাকে দুর্বল করে দিচ্ছিল। পাঠক কীভাবে নেবেন? তাদের কী পছন্দ হবে? বাংলা সাহিত্যে কি আবার আমি বাড়তি কিছু লিখে ফেললাম! আমার অভিব্যক্তি, আমার যন্ত্রণা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলোর পেট কোলে করে বেঁচে থাকা কি শুধুই আমাকে পোড়াবে! তিল তিল করে চার বছর ধরে লিখেছি তাদের কথা। তথ্য ও চিন্তনে ওদেরকে ধরেছি। শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। ঐ মারাত্মক আতঙ্কের কঠিন সময়ের মুখোমুখি সৌভাগ্যক্রমে যাদের হতে হয়নি। তাদের জন্য। আমার প্রথম উপন্যাস, ‘আতঙ্কিত অধ্যায়’ দলিল হয়ে থাকল তাদের কাছে।

আজ পাঠ প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছেন বীরভূমের আরেক বরেণ্য কথাকার শ্রী অজয় আচার্য। তিনি ল্যাপটপ বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন চালাতে পারেন না। একটা বহু মূল্যবান চিঠি পাঠিয়েছেন। নীচে তুলে দিলাম –

সাঁইথিয়া

বীরভূম

স্নেহের শ্রীকান্ত,

তোমার – “আতঙ্কিত অধ্যায়” পড়ে শেষ করলাম। একটানা পড়েছি। এত ভাল লেগেছে যে মাঝে ছাড়তে পারিনি। তোমার লেখার স্টাইলও ভালো । তুমি অবশ্যই একদিন বড়ো লেখক হবে। হয়তো আমি সেদিন থাকবো না। তবে লেখাটা তুমি যেন ছেড়ো না। কথায় আছে -প্রতিভা নিয়ে অনেকেই জন্মায়, কিন্তু পরিশ্রমের অভাবে অনেকের প্রতিভাই মরে যায় । তাই বলছি , লেখার কলম নিয়ে সাহিত্যের মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে। জয় একদিন হবেই হবে। তোমার বয়স অল্প – অনেক সময় পাবে। চরৈবেতি ।

-ইতি তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী

অজয় আচার্য

১০/০২/২০২৫

Leave a Reply